প্রকাশিত: ১৭/০৬/২০১৬ ৯:৪৬ এএম
goldমো.কাশেম:: ইয়াবার পর এবার স্বর্ণ চোরাচালানের নতুন রুট কক্সবাজারের টেকনাফ। মিয়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্তের ৮ পয়েন্ট দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গাদের দিয়েই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাচার করছে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিরা। দুই বছরে ১৩টি স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনার ১০টিরই বাহক ছিল রোহিঙ্গারা। মিয়ানমার-টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, ওয়াবাং, দমদমিয়া, শাহপরীরদ্বীপ, নাফ নদীর বদরমোকাম মোহনা, হোয়াইক্যং, খারাংখালী ও বড়ইছড়ি পয়েন্ট দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। তবে বিজিবির কক্সবাজার সেক্টরের অধীনে ৩১টি বিওপি, ৩টি সিআইও ক্যাম্প এবং ৫টি চেকপোস্ট ও স্পেশাল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা স্বর্ণবার, ইয়াবাসহ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে দায়িত্ব পালন করছে।

এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, আগের তুলনায় টেকনাফ সীমান্তে স্বর্ণ পাচার কিছুটা বেড়েছে। টেকনাফে চোরাচালান বন্ধে অভিযান জোরদার করেছে বিজিবি। টেকনাফ থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বিদেশি স্বর্ণ চোরাচালানের সর্বশেষ চারটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। আগের মামলাগুলো তদন্ত শেষে অপরাধীদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৫ মে টেকনাফ সীমান্তবর্তী দমদমিয়ায় ৬টি স্বর্ণবারসহ বাহক মো. রহমত উল্লাহ নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় পাচারকারী রহমত উল্লাহকে আসামি করে চোরাচালান মামলা হয় থানায়। গত ২৬ এপ্রিল টেকনাফের সীমান্তবর্তী দমদমিয়া থেকে ১০টি স্বর্ণবারসহ মো. ইদ্রিস নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেফতার করে বিজিবি। ৪ মার্চ টেকনাফে ১৩টি স্বর্ণবারসহ সাড়ে ৯ কেজি ওজনের ৮১৬ ভরি ১০ আনা স্বর্ণালঙ্কার, ৫২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৭ টাকা, মিয়ানমারের সাড়ে ৫২ হাজার ও ভারতীয় রুপির ৩১টি কয়েনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মং মং সে রাখাইনকে গ্রেফতা করে বিজিবি। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় চোরাচালান মামলা দায়ের করা হয়।
একইভাবে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচারকারীরারা ২০১৫ সালের ২৬ আগস্ট স্বর্ণ পাচারকালে বিজিবির সঙ্গে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। বিজিবি সে দিন অভিযান চালিয়ে শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর বদরমোকাম মোহনায় চোরাকারবারিদের সঙ্গে গুলাগুলি শেষে পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ১৫টি স্বর্ণবার উদ্ধার করে। এ সময় পাচারকারীরা মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। ওই বছরের ২ মে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকা থেকে ৬টি স্বর্ণবারসহ মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা দম্পতি রুবিনা ও মো. হোসনকে আটক করে চোরাচালান মামলায় তাদের আসামি করা হয়। একইভাবে টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তের ওয়াবাং থেকে ৭টি স্বর্ণবারসহ মিয়ানমারের মংডুর বাসিন্দা রোহিঙ্গা মো. নুরুল বশর, টেকনাফ ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ৯টি স্বর্ণবারসহ মালা মে নামে এক রাখাইন নারীকে গ্রেফতার করে বিজিবি। এভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তকে নতুন রুট বানিয়ে বাংলাদেশে বিদেশি স্বর্ণ পাচার করছে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিরা।

পাঠকের মতামত

টেকনাফে বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য় ভূমিকা শীষক সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের টেকনাফে “বনজ সম্পদ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণে ধমীর্য়  ও সামাজিক নেতাদের ভূমিকায়” শীষর্ক সভা অনুষ্ঠিত ...

হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে সেন্টমার্টিনে বনভোজন, ভোগান্তিতে রোগীরা!

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকরা গেলেন পিকনিকে। হাসপাতালের চিকিৎসক কমকর্তা-কর্মচারীসহ ...

মাইক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ড. মিজানুর রহমান আজহারী

তাফসির মাহফিলের মাইকগুলো যথাসম্ভব প্যান্ডেলের ভেতরেই রাখুন। আগ্রহী শ্রোতারা সেখানে বসেই তাফসির শুনবেন। শ্রোতাদের সুবিধার্থে ...

ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে ১ ঘণ্টাও লাগবে না :মিজানুর রহমান আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, আমরা মুসলিম, ...